অনলাইন ডেস্ক :
ভারত ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে বারডেম হাসপাতালে ১ রোগী মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। এ নিয়ে প্রথম থেকেই চিকিৎসকরা আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিলেও এবার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রচলিত এন্টিফাঙ্গাল এক্ষেত্রে কার্যকর নয়। ইনজেকশন হিসেবে এম্ফোটেরিসিন-বি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীর দ্রুত চিকিৎসা সবার আগে প্রয়োজন। তা না হলে অঙ্গহানির পাশাপাশি ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (০২ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বেলা আড়াইটায় ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বিষয়ক গাইড লাইন প্রকাশনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত গাইডলাইনে বলা হয়, অ্যান্টিফাঙ্গাল ড্রাগ জরুরিভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তবে প্রচলিত এন্টিফাঙ্গাল এক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। ইঞ্জেকশন হিসেবে এম্ফোটেরিসিন-বি কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত।
বিএসএমএমইউ ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এম্ফোটেরিসিন-বি কার্যকরী প্রমাণিত হওয়ায় ওষুধটি দামি হলেও পর্যাপ্ত মজুদ করতে হবে। এতে করে ওষুধটি সহজপ্রাপ্য হবে বলে মত দেন তিনি।
গাইডলাইনে আরও বলা হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আক্রান্ত অঙ্গে সার্জারি করে ফেলে দিয়ে জীবনরক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই রোগের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তবে তা এক লাখে ২০ থেকে ৩০ জন আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ ছোয়াচে না বলেও জানান অধ্যাপক শারফুদ্দিন।