
রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাত দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার। বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশনায় জেলার ৬ টি চেকপোস্ট ও ৫ টি মোবাইল টিম কাজ করছে।
জেলা পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ আনসার বাহিনীও কাজ করছে। প্রতিটি চেকপোস্টে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারাণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে দেখা যায়। টিকিট কাউন্টারের সামনে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে গাড়িগুলোকে থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এরপর যথাযত কারণ সাপেক্ষে ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। দৌলতদিয়ার সবগুলো ফেরিঘাটের প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহাসড়ক এড়িয়ে যারা ফেরিঘাটে আসছেন তাদের আটকে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের এমন কঠোর অবস্থানের কারণে ঢাকা-খুলনা মহাড়কের রাজবাড়ী অংশ এবং রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী অংশে অপ্রয়োজনে কোন যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজে যারা বাইরে এসেছেন তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশের সদস্যরা।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অতি জরুরী প্রয়োজনে যারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে তাদেরকে পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বের হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই রাস্তায় আসতে তাদেরকে পুলিশ সহায়তা করছেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত কাজ করে যাবে। অহেতুক কেউ রাস্তায় বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।









