রোজা রেখে যেভাবে ওজন কমাবেন

অনলাইন ডেস্ক :

 

রমজান মাসে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষরা সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখে। দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার পর ইফতারে অনেকে বেশি খেয়ে ফেলে, যা ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোজা ভাঙার সময় উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে বলেছেন। গবেষণা বলছে, রোজা রেখে যারা ইচ্ছামতো খাওয়াদাওয়া করে, মাস শেষে তাদের ওজন বেড়ে যায়।

কয়েকটি ছোট বিষয় খেয়াল রাখলে রমজানে ওজন বাড়ানো তো দূরে থাক বরং কমানো সম্ভব।

 

চিনির মাত্রা কমানো

সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে চিনি খেলে তৎক্ষণাৎ শক্তি ফিরে আসে শরীরে।  তবে কিছুক্ষণ পরেই অলস লাগা শুরু হয়। চিনিতে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে, যা ওজন বাড়ায়। আপনি যখন রোজা ভাঙবেন তখন কী পরিমাণ চিনি খাচ্ছেন সে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

 

ব্যালান্সড ডায়েট : অতিরিক্ত চিনি ও তেলেভাজা খাবার খাওয়ার চেয়ে ফাইবার জাতীয় খাবার, যেমন সবজি ও ফলের প্রতি গুরুত্ব দিন। সেই সঙ্গে কার্বজাতীয় খাবারও খেতে পারেন। এই জাতীয় খাবারগুলো দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারে ক্যালোরিও কম থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

ধীরে ধীরে খাওয়া : রোজা খোলার পর একসঙ্গে  সব খাবার খেয়ে নেবেন না। সময় নিয়ে আস্তে আস্তে খাবার খান। সারা দিন পর পেটে হুট করে খাবার গেলে বুঝতেও সময় লাগে। দ্রুত খাবার খেলে আপনার মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিতে পারে না যে আপনার পেট ভরা। এ জন্য খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান।

 

অল্প অল্প করে খাওয়া : একবারে ইফতারে খুব বেশি খাবার না খেয়ে ভাগ করে খান। ইফতারের ঘণ্টা দুই পর রাতের খাবার খেয়ে নিন। রাতের খাবার ফ্যাট, কার্ব, প্রোটিন যেন থাকে সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। এরপর সাহরির সময় সাহরি খান।

 

 

রি-হাইড্রেট : সারা দিনে শরীরে যে পরিমাণ পানির চাহিদা হয় তা পূরণ করতে ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। পানিযুক্ত খাবার বা পানিজাতীয় ফল খাবার তালিকায় রাখুন। শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের হওয়ার জন্য পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

 

হাঁটাচলা করা : ইফতার বা রাতের খাবারের পর হুট করে শুয়ে পড়বেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। খাবারের পর হাঁটলে হজমও ভালো হয়। সেই সঙ্গে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও ভালো।

সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *