অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরোতেই তৃতীয় লিঙ্গের ডায়নাকে খুন : পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক :

 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগে মাকসুদুর রহমান ওরফে ডায়না নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হত্যার অভিযোগে শোয়েব আক্তার লাদেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া ডায়না গোলাপবাগের বাসায় ভাড়া থাকতেন। লাদেন ওই বাড়ির গৃহকর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ডায়নাকে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর ১১ দিন ডায়নার লাশ ঘরে পড়ে ছিল। গত ২৭ আগস্ট রাতে ওই বাসা থেকে ডায়নার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, ২৭ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর ওয়ারীর গোলাপবাগের একতলা বাড়ির ভেতরের কক্ষ থেকে ডায়নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে লাদেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন লাদেন। ডায়নার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন লাদেন। টাকার বিনিময়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হতো। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে লাদেন বিয়ে করেন। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। লাদেনের বিয়ের বিষয়টি ডায়না মেনে নিতে পারছিলেন না। অন্যদিকে লাদেন চাচ্ছিলেন সম্পর্ক শেষ করে মুক্ত জীবনে ফিরতে। কিন্তু টাকার প্রলোভনে ডায়না লাদেনকে আটকে রাখতে চান।

 

জবানবন্দির সূত্রে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, ১৬ আগস্ট বাসার টেবিলে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করেন লাদেন। মাথায় ও হাঁটুতে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে বন্ধ মূল ফটক টপকে পালিয়ে যান লাদেন। এরপর দেশে থাকা ডায়নার ফুফাতো ভাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

জিয়াউল আহসান বলেন, ডায়না আশপাশের কারো সঙ্গে মিশতেন না। একতলা ওই বাড়ির দেয়াল অনেক উঁচু ছিল, তাই এত দিন মরদেহ পড়ে থাকার পরও আশপাশের কেউ টের পায়নি। ডায়নার পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। দুই-তিন বছর ধরে ডায়না গোলাপবাগের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *