তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মারামারিতে আহত ১

রিপন কান্তি গুণ,বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার বারহাট্টায় গোয়াল ঘরের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে মামা শশুর (বাবুল মিয়া) ও ভাগ্নেবউ (জলি আক্তার) এর মধ্যে মারামারিতে ভাগ্নেবউসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ভাগ্নেবউ গুরুতর আহত অবস্থায় বারহাট্টা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আজ (১৮ নভেম্বর) শুক্রবার উপজেলার আসমা গ্রামে সকালে খোকন মিয়ার বাড়িতে গোয়াল ঘরের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ভাগ্নেবউ (জলি আক্তার) গোয়াল ঘরে গরু বাঁধতে গেলে মামা শশুর ও ভাগ্নেবউয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের ঘটনা এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। তখন মামা শ্বশুরের আঘাতে আহত হয়ে ভাগ্নেবউ বারহাট্টা উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তখন অনেকেই আহত হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত রোগী জলি আক্তারের অবস্থা জটিল হওয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পরিচয়ে জানা যায়, জলি আক্তার আসমা গ্রামের মোঃ খোকন মিয়ার স্ত্রী। খোকন মিয়া পেশায় একজন ইটের সুরকি ভাঙানোর দিনমজুর।
ভুক্তভোগী খোকন মিয়া বলেন, আমি অনেক দিন ধরে গোয়াল ঘরটি ব্যবহার করে আসছি। গোয়াল ঘরটির জায়গায়ার সঠিক কাগজপত্র আমার কাছে আছে। কিন্তু আমার মামা তা মানে না। গোয়াল ঘরটি তার দখলে রাখতে চায়।  আজ আমার স্ত্রী গরু বাঁধতে গেলে তাকে ঢুকতে না দিয়ে গোয়াল ঘরটি তালা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আজকের এ ঘটনায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে ময়মনসিংহ যেতে হচ্ছে, আমার আয় সামান্য। চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যেতে আমার খুব কষ্ট হবে।
মোঃ বাবুল মিয়া (মামা শশুর) বলেন, গোয়াল ঘরটি আমার। আমার কাছে এর সঠিক কাগজপত্রও আছে। আমি এ গোয়াল ঘরেরর দখল ছাড়বো না।
সরেজমিনে গেলে, তথ্য সংগ্রহের সময়, দুই পক্ষের লোকজনদের সাথে কথা বলার সময় পুনরায় ঝগড়া শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে দেয় দুই পক্ষের লোকজন। তখন আমরা সংবাদকর্মীরা জীবন রক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক জানান, এ ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে  কোন লিখিত মামলা হয়নি। মামলা হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *