অনলাইন ডেস্ক :
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থাপন করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রস্তুত ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩’ প্রস্তুত করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি সকল শিল্প-কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন।
এ খসড়া আইনের বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একাধিক সভা, কর্মশালা, ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হয়।
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া পরিমার্জনপূর্বক চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো)’ কর্তৃক প্রমিত করা হয়।
এই আইনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ―উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা; কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার বা পুনঃব্যবহার, হস্তান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা; জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা (Research & Development) এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উপাত্তের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তির উপাত্ত সুরক্ষা ও উহার প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উপাত্ত সুরক্ষার নীতিসমূহ অনুসরণক্রমে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ও বিস্তৃতি ঘটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্তের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো দেশের সাথে পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ আইনটি করা হয়েছে।