মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক :

 

অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে চারটি সীমান্ত ক্রসিং আবারও খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ।

 

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ঈগল পাসের একটি আন্তর্জাতিক সেতু, অ্যারিজোনার দুটি ক্রসিং ও ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর কাছের আরেকটি সেতু পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে সিবিপি।

 

গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রো মায়োরকাস।

 

বৈঠক শেষে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানান, দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করে, একাধিক সেতুও রয়েছে। এসব বৈধ ক্রসিং পুনরায় খুলে দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, উভয় দেশের কর্মকর্তারা যৌথ সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল মোকাবিলায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করার এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে।

 

মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে, যা বড়দিনের আগের তুলনায় অনেক কম।

 

তবে মার্কিন এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ে অভিবাসীদের ঢল ঐতিহাসিকভাবে বড়দিন ও নতুন বছরের কারণে কমে গেছে। গত বছরের একই সময়ে সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

 

গত বছরের ডিসেম্বরে একদিনে প্রায় ১১ হাজার অভিবাসী মেক্সিকো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছায়। তখন দেশটির সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের কথা বলেছিলেন।

 

এদিকে, অভিবাসন নীতি নিয়ে নিজ দল ও বিরোধী দলের তুমুল চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একদিকে মেক্সিকো সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে, সীমান্ত রক্ষায় সরকারকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বলছে রিপাবলিকানরা। তাদের দাবি, প্রয়োজনে ইউক্রেনে যে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে, সেই বাজেট কমিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষা করতে হবে।সূত্র: এপি, রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *