কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার বাদশাহ্ এমপি’র বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গতকাল বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ.ক.ম সারওয়ার জাহান বাদশা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন। পদ্মার বুকে সংসদ সদস্য জননেতা আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ নৌকা থেকে নিজ মোবাইলে সরাসরি কথা বলেন ত্রাণমন্ত্রী ও পূণর্বাসন মন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের সাথে। দৌলতপুরের বন্যাদূর্গত পরিস্থিতিরি খবর শুনে মন্ত্রী সাথে সাথে প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার বস্তা ত্রানসামগ্রী অনুমোদন করেন। এ সময় এমপি’র মোবাইল থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনও বন্যা পরিস্থিতির কথা মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দৌলতপুরের এমপি তাৎক্ষনিকভাবে আড়াই হাজার বস্তার ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ১ হাজার বস্তা, রামকৃষ্ণপুর ৮’শ বস্তা, ফিলিপনগর ৩৫০ বস্তা, মরিচা ৩৫০ বস্তা ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ করেন।

এ সময় দৌলতপুর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজগর আলী, দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরদির্শনকালে তাৎক্ষণিক রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ২শ’ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন তারা।

জেলা প্রশাসক আমলাম হোসেন বলেন, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত তালিকা করতে ইউপি চেয়ারম্যান নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

সাংসদ অ্যাডভোকেট আ. ক. ম সারওয়ার জাহান বাদশা বলেন, উপজেলার দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের অধিক মানুষ। প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষ কিভাবে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শনের

উল্লেখ্য যে, শুক্রবারের তুলনায় শনিবার শূন্য দশমিক ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির স্তর রয়েছে ১৩.৯৬ সেন্টিমিটার। এই মুহূর্তে বিপদ সীমা থেকে মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার কম পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পানি বৃদ্ধির পরিমাণ দিন দিন কমে আসবে। তবে লোকালয় থেকে পানি নেমে যেতে হয়তো কিছুট সময় লাগতে পারে।
এদিকে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৭ গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় করুণ জীবন অতিবাহিত করছেন।
প্রায় এক হাজারেরও বেশি পরিবারের বাড়ি-ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে তারা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। উজানের নেমে আসা পানিতে চরাঞ্চলের প্রায় এক হাজারের অধিক হেক্টর জমির মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *