যশোরের অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ

ডিপি ডেস্ক :

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলামকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলসহ আশাপাশের প্রায় ২০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি একজন মৎস্যঘের ব্যবসায়ী ছিলেন। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে কৃষক দল নেতার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে।

ঘটনাস্থলসহ আশাপাশের প্রায় ২০টি ঘরে আগুন জ্বলছে।
থানা ও পৌর বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। 

নিহত তরিকুল ইসলামের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী সুমন হোসেন বলেন, ‘আসরের নামাজ শেষে জরুরি প্রয়োজনে তরিকুল ভাই ও আমি ডহরমশিয়াহী গ্রামে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যাই। সেখানে মৎস্যঘের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল।

এসময় অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। কোনো কিছু বোঝার আগেই অস্ত্রধারীদের একজন তরিকুল ভাইয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। পরে তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে ভাইকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।’ 

নিহতের বড় ভাই এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস জড়িত।

আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ 

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত তরিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আলামত হিসেবে এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জড়িতদের আটকে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডহরমশিয়াহী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *