

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় এক মসজিদের ইমামকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রহিদুল (৪০) নামের অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার সময় জেলার কুমারখালী উপজেলায় দৌলতপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে রহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রহিদুল জয়রামপুর এলাকার রেজাউল হকের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯/ ০৭ /২৫ তারিখ বেলা ১২ টার দিকে জমি জায়গা সংক্রান্ত ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জয়রামপুর এলাকার মৃত ইসরাইল হোসেনের বসত বাড়িতে রামদা, হাতকুড়াল, রড ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ নেতা রহিদুল ও তার লোকজন। এমন অবস্থায় বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাটে তাদের বাধা দিলে ইসরাইলের ছেলে আব্দুল্লাহ সাহাবী কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে রহিদুল, রেজাউল সহ ৭ জন অস্ত্রধারীরা।
অস্ত্রধারীদের হামলায় আব্দুল্লাহ সাহাবী (জয়রামপুর স্থানীয় বড় মসজিদের ইমাম) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল্লাহ সাহাবীর একটি চোখ উপড়ে যায় এবং সে অন্ধত্ব বরণ করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোলায়মান শেখ জানান, গভীর রাত্রে অভিযান চালিয়ে আমরা প্রধান আসামী রহিদুলকে গ্রেফতার করেছি। আজ সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। ইতিপূর্বে ঐ মামলায় আমরা ২ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ সাহাবীর মা বাদী হয়ে রহিদুল কে প্রধান আসামি করে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রহিদুলকে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার বাকি আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।













