

ডিপি ডেস্ক :
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
জরুরী বিভাগের সামনে পার্কিংঃ
ডিসি মহোদয় এর সাথে আলাপ সাপেক্ষে অচিরেই এ্যাম্বুলেন্স এবং অটোরিকশা ষ্ট্যান্ড সরানো হবে বলে জানিয়েছেন ।
জরুরী বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনুপস্থিতিঃ
জরুরী বিভাগে সব সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার উপস্থিত থাকার কোন সরকারী নিয়ম নেই। মেডিকেল অফিসাররা সব সময় উপস্থিত থাকবেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন হলে RMO সাহেবকে অবহিত করলে উনি তৎক্ষনাৎ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন।
রাতের বেলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনুপস্থিতিঃ
রাতের বেলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ।
হসপিটালে দালাল চক্রের উৎপাতঃ
নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দালাল চক্র নির্মূল করা হবে।
হসপিটালে ঔষধের সল্পতাঃ
২৫০ বেডের বিপরীতে ঔষধের সরকারী বরাদ্দ আসে। কিন্তু হসপিটালে নিয়মিত ৮৫০ থেকে ৯০০ রোগী ভর্তি থাকে এবং আউট ডোরও এই একই ঔষধে ম্যানেজ করতে হয়। তাই এই অবস্থায় ঔষধ প্রাপ্তি শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাঃ
সদর হসপিটালে ১৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিপরীতে মাত্র ৩ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছে। তাই সদর হসপিটালের নিজস্ব কর্মী দিয়ে সঠিক ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা সম্ভব নয়।আমরা KK-GK হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে যৌথভাবে হসপিটাল ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন।
সর্বোপরি কুষ্টিয়া সদর হসপিটালে ৩৮৫ জন মঞ্জুরীকৃত জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ২৮৩ জন কর্মরত আছে। জনবলের ঘাটতি এবং ২৫০ জনের বিপরীতে ৮৫৫ (আজকের রোগীর সংখ্যা) ভর্তি রোগী, রোগীর এই মাত্রাতিরিক্ত চাপের কারনে হসপিটাল কতৃপক্ষ যথোপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না।
জেলা বিএনপির নেতারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছেন যাতে অতিদ্রুত কুষ্টিয়া সদর হসপিটালে মঞ্জুরীকৃত জনবল নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়া কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হসপিটাল পুরোদমে চালু করার জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন ।
পরিশেষে নেতারা বলেন সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি, তাহলে অচিরেই এই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে।










