

অনলাইন ডেস্ক :
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে বাণী পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা বাণীতে তিনি এ কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, জন্মাষ্টমী ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুষ্টুদের বধ করে এই পৃথিবীকে পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আবহমানকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। উৎসব সার্বজনীন ও সম্প্রদায়গত বিভাজনকে সংযুক্ত করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। মানব সমাজকে এক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়।
তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে এক অনন্য সংহতিবোধ। আনন্দরুপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক অভিন্ন আন্তরিকতায় আপ্লুত করে।
তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী সম্প্রীতি, মানব কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পাপীদের দুর করার জন্য অনেক মহৎ কাজ করেছেন, তাদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ইতিহাস বর্তমানে মানবসমাজের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসনকে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করেছিলেন। গণবিরোধী স্বৈরশক্তি দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণের খড়গ নামিয়ে আনে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে অসহায় ও মজলুম মানুষ প্রেরণা লাভ করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ।
সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশিরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাণী
শুক্রবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বাণী দিয়েছেন। গণমাধ্যমে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো বাণীতে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দ্বাপর যুগে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে মথুরায় যাদব বংশে আসেন হিন্দু ধর্মের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। যে তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধরাধর্মে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সেই তিথিটাই জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয়। জন্মাষ্টমী সকল হিন্দুদের কাছে খুবই পুণ্য একটি তিথি। শুভ জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। উৎসবের প্রাঙ্গণ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত। প্রীতি ও সৌহার্দ্য সকল ধর্মীয় উৎসবের মূলবাণী। যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মের প্রবক্তাগণ মানুষকে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হতে বলেছেন। অসত্য, অন্যায় ও দুষ্কর্ম থেকে দুরে থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণও একই উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে জনসমাজে বিরাজমান অন্যায়কে পরাস্ত করে শান্তি ও কল্যাণ স্থাপন করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দুর্গুণ, দুরাচার বৃদ্ধি পেলে দুষ্কৃতকারীদের বিনাশে শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে পৃথিবীতে আসেন।
তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।
আমি জন্মাষ্টমীর এই শুভক্ষণে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলের সুখ, অগ্রগতি ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।












