৬ মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৬ শিশু !

ন্যাশনাল ডেস্ক : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ৪৯৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে উঠে এসেছে দুই বেসরকারি সংস্থার পরিসংখ্যানে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।

আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘শিশু অধিকার ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ)।

অনুষ্ঠানে এএসডির ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিক্স (ডিসিএইচআর) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪৯৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ হারে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফারহানা সুলতানা বলেন, অধিকাংশ সময় সম্মান হারানোর ভয় ও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে শিশু নির্যাতনের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। ধর্ষণের মামলা করতেও ভয় পান অভিভাবকরা। আবার অনেক সময় দরিদ্র অভিভাবকের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নেওয়াও সম্ভব হয় না। অপরাধীর শাস্তি না হওয়ায় সমাজে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।

এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ার প্রধান কারণ নির্যাতনের পরেও আইনের আওতায় আসছে না অপরাধীরা। ফলে একের পর এক শিশু ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, এছাড়া অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হলেও তাতে আইনের ফাঁক-ফোকরে ছাড়া পেয়ে যায় অপরাধী।

বক্তারা বলেন, শিশু নির্যাতনের বিচার না হওয়ার একটি বড় কারণ আইনের ধীরগতি। দ্রুত বিচার কার্যকর না হওয়ায় জামিনের সুযোগ পেয়ে যায় অপরাধীরা। এছাড়া তাদের চাপের মুখে নির্যাতিতরা সমঝোতায় যেতে ও মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *