স্নেকহেড নামের মাছ দেখা মাত্রই মেরে ফেলার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক : স্নেকহেড নামের এই মাছকে দেখা মাত্রই মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সম্পদ বিভাগ। কিন্তু নিষিদ্ধের পরও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় শিকারী এক ব্যক্তি এই স্নেকহেড মাছটি প্রথম দেখতে পান গুইনেট কাউন্টির একটি পুকুরে।

সাধারণত যে জলাশয়ে এই মাছ জন্মায় সেখানের প্রাণীজগতের পক্ষে ক্ষতিকারক হয় এরা। কারণ এদের খাবার ছোট মাছ, কীটপতঙ্গ থেকে ছোট ইঁদুর, উভচর প্রাণী।

পুষ্টিদায়ক খাদ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় এই মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য এবং বন্যপ্রাণ পরিষেবা দফতর স্নেক হেড মাছকে বন্যপ্রাণের পক্ষে ক্ষতিকারক হিসেবে ঘোষণার পর তা বন্ধ হয়।

যার কারণে ওই মৎস্যজীবীকে ধন্যবাদ জানান বিভাগীয় মুখপাত্র ম্যাট টমাস। তিনি বলেন, ওই মৎস্যজীবীর বার্তা পেয়েই তাদের কর্মীরা ওই পুকুরে গিয়ে তদন্ত করে নিশ্চিত হন সেখানে ওই প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব নিয়ে।

টমাস বলেন, তারা ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, যদি কোনও ব্যক্তি ওই মাছের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে সেটিকে যেন তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলা হয়। আপাতত ওই পুকুরের প্রাণীজগতের উপর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৪টি স্টেটে স্নেক হেড মাছ পাওয়া গেলেও টমাসের আশা জর্জিয়ায় এখনই হয়ত সেভাবে বংশবিস্তার করতে পারেনি।

প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন, মূলত পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা সরু আকার, কালচে খয়েরি রং’র স্নেক হেড মাছ প্রায় তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজন প্রায় ১৮ পাউন্ড। মুখে সরু, তীক্ষ্ণ দাঁতের সারি। এরা টানা চার দিন মড়ার মতো পড়ে থেকে ডাঙাতেও বেঁচে থাকতে পারে এবং খোলা বাতাসে শ্বাস নিতে পারে যদি কোনও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকে। খরার সময় মাটির ভিতর ঢুকে নিজের জীবন রক্ষা করতে পারে এরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *