কলকাতায় পালিত হলো বাংলাদেশের ৫০তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

অনলাইন ডেস্ক :

 

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের ৫০তম ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১’ পালন করেছে।

 

৫০তম ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২১’ উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের চার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আঁকা একটি কেক কাটেন তিনি। সাথে ছিলেন রাজ্যপালের স্ত্রী সুদেশ ধনকড়। এরপর রাজ্যপাল উপস্থিত সকলকে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগদীপ ধনকড় বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয়। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্ববাসী চিরকাল স্মরণ করবে।’

 

রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ়।’

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে জগদীপ ধনকর বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং অন্যান্য সব ক্ষেত্রে উন্নতি করে চলেছে।’

 

এর আগে এদিন সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই বিশেষ দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

 

পতাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাংলাদেশের ৫০তম ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কন্সুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামছুল আরিফ এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি। এরপর বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *