অনলাইন ডেস্ক :
ইফতারে যদি ভারী খাবার খাওয়া হয়, রাতে হালকা খাবার খেতে হবে। রাতের বেলার খাবার হতে পারে স্যুপ, এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কলা, খেজুর, বাদামসহ শেক, সালাদ (শসা, গাজর, বিটরুট ক্যাপসিকাম, সেদ্ধ ভুট্টা, মটরশুঁটি ইত্যাদি সবজি একসঙ্গে মিশিয়ে পেঁয়াজ ও একটু অলিভ ওয়েল বা সরিষার তেল যোগ করে তৈরি করা), এক গ্লাস দুধ, সেদ্ধ ডিম ইত্যাদি।
যদি ইফতারে একদম অল্প এবং হালকা খাবার খাওয়া হয় তাহলে রাতে ভারী খাবার খেতে পারেন। রুটি, এক কাপ ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ বা অল্প পরিমাণ মাংস। তবে ভাতের পরিমাণ বেশি না রাখাই ভালো।
সবজির মধ্যে যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি যেমন লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া ইত্যাদি অনেক লম্বা সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। আর রেডমিট ১০-১৫ দিন পর একদিন খাওয়া ভালো।
সেহরিতেও খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখতে হবে। ভাত খেলে সঙ্গে কম মশলাযুক্ত সবজি, মাছ বা মাংস, ডাল খেতে পারেন। প্রতিদিন ভাত না রেখে একদিন দই চিড়া বা ওটসও বাখতে পারেন।
আবার অনেকেই আছেন সেহরিতে ভারী খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তারা এক গ্লাস দুধ, একটি ডিম সেদ্ধ, একটি কলা বা এক গ্লাস দুধ, একটি খেজুর ও কলা খেতে পারেন।
এই খাবারটিও সারাদিনে যথেষ্ট শক্তির জোগান দেবে। সেহরির সময় শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা অন্তত আধা ঘণ্টা আগে উঠে খেতে হবে।
সেহরির খাবার রাতের শেষ ভাগেই খেতে হবে, যাতে এই খাবার সারাদিন শরীরে শক্তি দেয়।
এভাবে খাদ্যগ্রহণ করার পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করতে হবে-
ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানি খেতে হবে।
রমজান মাসে চা-কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যত কম রাখবেন তত ভালো। এগুলো খেলে সারাদিনে পানির পিপাসা বেশি লাগবে, শরীর ঘামবে, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স বেশি হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত নিয়মিত চা-কফির বদলে হারবাল চা খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়।
আপনি যদি একজন সুস্থ ব্যক্তি হোন, কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকে, তাহলে তিনদিন পর একদিন নিজের পছন্দের (অর্থাৎ ভাজাপোড়া খাবার, দোকানের খাবার ইত্যাদি) ইফতারে খেতে পারবেন। আর যদি কারো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তাদের যদি খুব ইচ্ছা হয় তাহলে ১৫ দিন পরেএকদিন অল্প পরিমাণে পছন্দের ইফাতার করতে পারবেন।
এই বিষয়গুলো মেনে চলতে পারলে আশা করা যায় সুস্থ থেকে রমজানে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডিপি/এসকে