গণঅভ্যুত্থানের পর কুষ্টিয়া শহরে জ্বলেনি ২৬৬টি সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া :

কুষ্টিয়া শহরের রাস্তায় ২৬৬টি সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি গণঅভ্যুত্থানের পর আর জ্বলেনি।কুষ্টিয়া পৌরসভার সর্বশেষ সাবেক মেয়র ছিলেন আনোয়ার আলী। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেন। বর্তমানে মো. মিজানুর রহমান প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, গত ৫ আগস্টের আন্দোলন সংগ্রামে সৌন্দর্যবর্ধক অনেকগুলো ল্যাম্পপোস্ট ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকিগুলোও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবগুলো খুলে পৌরসভায় এনে রাখা হয়েছে। এখন বাতিগুলো ব্যবহার অনুপযোগী।

তিনি জানান যে, রাজশাহীর শহরের আদলে সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। এজন্য ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবও করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। তবে আদৌ অনুমোদন মিলবে কি না? আর মিললেও সেটি কি ভাবে হবে সে ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

কুষ্টিয়া পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জামিউল বলেন, গত ৫ আগস্টের পর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়ার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সাবেক পৌর প্রশাসক শারমিন আখতার স্যারের নির্দেশে সড়কবাতি গুলো খুলে রাখা হয়েছে।

পৌরসভার সড়কবাতি ও সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি না জ্বলার বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু বলেন, সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি গুলো আগেই খুলে ফেলা হয়েছে। এখন বর্ষায় সড়কের পার্শ্ববর্তী বাতিগুলোও প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার কথা বলেছি। উনারা দাবি করেছেন, সড়কের পার্শ্ববর্তী সড়কবাতি গুলো অকেজো হলেই প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভায় এই মুহূর্তে ৮ হাজার সড়কবাতি আছে। এগুলো নষ্ট হলেই প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে গত ১ বছরে কী পরিমাণ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, আগেরগুলো পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। এখন নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *