কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ হচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। সে ঢাকার বাইরে থেকে কুষ্টিয়ার শহরতলীর নিজ বাড়িতে ফিরবে। পেশায় সে একজন শিল্প-শ্রমিক। পরিবার তাকে নিষেধ করলেও তার কোন উপায় ছিল না। কারন সে সেখানে যে বাড়িতে ভাড়া থাকে বাড়ির মালিক তাকে আর থাকতে দিতে নারাজ। অগত্য সে রওনা দেয়। সাথে কয়েকজন। তারাও সব শিল্প শ্রমিক। তারা আসে চালের খালি বস্তা বোঝাই একটি ট্রাকে। ট্রাকটি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ফিরছিল। খুব কৌশলে বস্তার আড়ালে লুকিয়ে। ৫জন। জনপ্রতি ভাড়া পড়ে সাভার থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১০০০ টাকা। সে রওনা দেয় বৃহস্পতিবার ভোরে ৪টায়। শর্ত ছিল কোন রকম নড়াচড়া, কথাবার্তা কিছুই বলা যাবে না। প্রকৃতির ডাক এলে নির্দ্দিষ্ট জায়গা বুঝে। সব বাধা বিপত্তি এড়িয়ে সে নিজ শহরে পৌঁছায় রাত ৮টায়। বাসায় ফিরে মুখোমুখি হয় নানা বিপত্তির। পরিবারের লোকের চাপ হোম কোয়ারেন্টাইন ; যা সে জানে। কিন্তু তার দাবি তার কিছু হয়নি। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের রোষানলেও পড়তে হয় তাকে। প্রতিবেশীরাও তাকে ভালভাবে মেনে নিতে নারাজ। পরিস্থিতি নাজুক দেখে সে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। সে পালায়। পরিবারের লোকজন আঁচ করতে পেরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশে খবর। পুলিশ তাকে ধরে ফেলে বাড়ির অদুরে মীর মশাররফ হোসেন বৃজের কাছ থেকে। অনেক দেনদরবার শেষে অবশেষে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার হয়েছে। তবে পাহাড়া বসানো হয়েছে একজন আনসার সদস্যকে। যাতে করে সে পালাতে না পারে। স্থানীয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে কোভিড টেস্ট করার জন্য। বিষয়টি এলাজুড়ে আলোচিত। ব্যবস্থাটি দেখার জন্য লোকজনের ভিঁড়ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
Posted in COVID-19
‘কুষ্টিয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আনসার পাহাড়া’
April 17, 2020