করোনাভাইরাসকে হারিয়ে এ পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ১১ লাখ মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মারা গেছেন লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত অসংখ্য। প্রতি মুহূর্তে চড়ছে সংশয়ের ও আতঙ্কের পারদ। লকডাউনে বিধ্বস্ত বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এ মহামারি যেন এক ত্রাস হয়ে ওঠেছে সারা বিশ্বে। কিন্তু এর মধ্যেই আছে এক স্বস্তির খবরও। গোটা বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ লাখ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। এই দুঃসময়ে এই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৪ লাখ ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ কভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ছয়শ ৬৯ জন মানুষ। আর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৯৪ হাজার সাতশ ৫৬ জন মানুষ।

তথ্য বলছে, আমেরিকায় সুস্থ হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। জার্মানিতে সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার, স্পেনে সেটা ১ লাখ ১২ হাজার। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যাটা ৩৭ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি। আরও অনেকেই সুস্থ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শুধু তাই নয়, জার্মানিতে রোগমুক্তির হার প্রায় ৭৫ শতাংশ। যা সে দেশের কাছে প্রশংসনীয় একটি ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপুল হারে টেস্টিং করানোর ফলেই এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে তারা।

স্পেনে সেরে ওঠার হার প্রায় ৫২ শতাংশ। ইতালিতে তা ৩৬ শতাংশ ও ফ্রান্সে ৩০ শতাংশ। তবে শুধু টেস্টিং না, প্রতিটি দেশেই লকডাউনও সাফল্যের আর একটি বড় কারণ। রোগমুক্তির পরে অনেক দেশ এবং শহরই এখন লকডাউন শিথিল করার পথে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সেসব শহরে উল্লেখযোগ্য হারে মানুষ সুস্থ হয়েছেন, তারা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত এমনটা কখনই নয়। ভাইরাসটি বেশ ভয়ানক। আবারো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে সুযোগ পেলেই। তাই সাবধান হওয়া খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে চিন্তার কারণ হল, সেই সব মানুষজন যারা এরই মধ্যে রোগের বাহক, কিন্তু শরীরে রোগের কোনো উপসর্গ নেই। তারা নিজে আক্রান্ত না হলেও তাদের থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *