ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জেলা সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ কারাগারের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে গত রবিবার বিকেল থেকে ওই ছয়জন নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এছাড়াও সতর্কতা হিসেবে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
সোমবার জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকেই মুঠোফোনে দাফতরিক কাজ করবেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা কর্মকর্তারা।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা কারাগারে প্রায় সাড়ে ১৭শ’ হাজতি ও কয়েদি রয়েছেন। আক্রান্ত ওই চিকিৎসকই কারাগারের একমাত্র চিকিৎসক। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল তিনি কারাগারে যান। তখন কারাগারের হাসপাতালে চারজন কয়েদি ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। এছাড়া জেলা সুপারের কক্ষেও যান ওই চিকিৎসক। ওইদিন জেল সুপার ও ডেপুটি জেলার মো. রেজাউল করিমসহ ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে গত রবিবার ওই চিকিৎসকের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ ছয়জন কারাগারের ভেতরে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। সর্তকর্তা হিসেবে ছয়জনই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
জেলা কারাগারারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক সরাসরি হাতে ধরে কোনো কয়েদিকে চিকিৎসা দেননি। তবে সতর্কতা হিসেবে ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আমরা আলাদা করে ফেলেছি। আমাদের ডেপুটি জেলারকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন তিনি। সেজন্য আমরা ছয়জন কারাগার থেকে আলাদা হয়ে গেছি। আজকে থেকে আমরা কারাগারের অফিসে যাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে ওই চিকিৎসকের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।