বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়ায় নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ উপজেলায় আক্রান্ত মোট ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনই ধুলপুকুরিয়া গ্রামের। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বোয়ালমারীতে।
ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চতুল ও ধুলপুকুরিয়া গ্রাম দুইটি সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, ঢাকা থেকে আগত এক নারী আত্মীয়ের মাধ্যমে ওই গ্রামটিতে করোনাভাইরাস ছড়ায়। এর আগে গত ১০ মে আগত ওই নারীর পরিবারের ৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়। তাদের সংস্পর্শে এসে নতুন করে আরও ৭ জন আক্রান্ত হলো।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে ধুলপুকুরিয়া গ্রামের শ্রীবাস রায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ সময় তার স্ত্রী শিখা রায় তার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ওইদিনই শ্রীবাস রায়ের মৃতদেহ ধুলপুকুরিয়ায় এনে সৎকার করা হয়। দুইদিনের পর শিখা রায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষায় পজেটিভ ধরা পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন প্রায় ৪০টি বাড়ি লকডাউন করলেও তা অনেকেই মানেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।