লাকসাম প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসামে করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ীকে নিয়ে তার পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে লাকসামে এলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন না। অবাধে পরিবারের সংস্পর্শে থাকার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে যাতায়াত ও মসজিদে নামাজ আদায় করায় অন্যদের মধ্যেও সংক্রমের ঝুঁকি রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, লাকসামে সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন। তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি গত ৯/১০দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে লাকসামে আসেন। স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক অন্য শহর থেকে আসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি তা মেনে চলেননি। চট্টগ্রাম থেকে আসার পর পরিবারের সংস্পর্শে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় দৌলতগঞ্জ ও রাজঘাট বাজারে একাধিকবার যাতায়াত এবং স্থানীয় দুইটি মসজিদে নামাজও আদায় করেন। ধীরে ধীরে তার মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিক করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা তার নমুনা সংগ্রহ করে। শুক্রবার গভীর রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিতের পরপরই প্রশাসন ও র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা তার বাড়ি ও আশে-পাশের ভবন লকডাউন ঘোষণা করেন। তাকে তাৎক্ষণিক হোম আইসলোশনে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
শনিবার ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের বাকী ৫ সদস্যেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী, এক মেয়ে ও ছেলের শরীরে জ্বর রয়েছে। তাদের এমন উপসর্গে চিন্তিত স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ। ওই ব্যবসায়ী পরিবারের লোকজনের সংস্পর্শে থাকার পাশাপাশি একাধিকবার স্থানীয় বাজারে যাতায়াত ও মসজিদে নামাজ আদায় করায় অন্যদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য ডা. আবদুল মতিন।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে থাকতে হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে তারা তৎপর বলে জানান।