অনলাইন ডেস্ক : গোটা বিশ্বে কী হারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে, তার খানিক আভাস মিলবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধা টেড্রোস ঘেব্রেইয়েসুস বুধবার জানান, গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৮৪ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ৬০ লাখ আক্রান্ত হয়েছে শেষ দু-মাসে। যেখানে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে প্রথম দুই মাসে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৫ হাজার।
করোনা টেস্টে লোকজনকে উত্সাহিত করতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ল্যাবের সংখ্যা যে নাটকীয় ভাবে বেড়েছে, তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার অন্যতম কারণই যে দৈনিক কোভিড টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি, তা পরোক্ষে মেনে নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ লাখ ৬ হাজার। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজারে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ লাখ ১৫ হাজার জন।
মোট সংক্রামিতের এক-চতুর্থাংশ আমেরিকায়। ২২ লাখ ৩৪ হাজার আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৪১।
ব্রাজিলে সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬৬৫ জন করোনায় মারা গেছেন। আমেরিকার পর আর কোনো দেশের এত মৃত্যু হয়নি। মোট আক্রান্তের নিরিখেও ব্রাজিল আমেরিকার পরেই রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ায় ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩০১ জন আক্রান্ত। মৃত্যু ৭,৪৭৮।
ভারতে ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ ৬৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১২,২৬২ জনের।
আক্রান্তে প্রথম দশে থাকা জার্মানিতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৭ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৮,৯১৮ জনের। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫১ জন।
প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় সব থেকে বেশি টেস্ট হয়েছে রাশিয়ায়। গড়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৪৫। ব্রিটেনে প্রতি ১০ লাখে টেস্ট হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ জনের। কাছাকাছি আছে স্পেনও। প্রতি ১০ লাখে ১ লাখ ৩ হাজার ২৩২ জনের টেস্ট হয়েছে। আমেরিকায় এই গড় ৭৮ হাজার ৪১৮। ভারতে সেখানে প্রতি ১০ লাখে মাত্র ৪ হাজার ৪১১ জনের টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৬০ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৬টি নমুনা টেস্ট হয়েছে।