করোনাভাইরাসে ৫ ভুলে সংক্রমণের যে ঝুঁকি বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে নানা কাজে, নানা প্রয়োজনে মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে। প্রাণঘাতী অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে সব রকম সতর্কতা মেনে তবেই বাইরে পা রাখতে হচ্ছে। তবে যেহেতু এখন অনেকেই বাইরে বের হচ্ছেন, তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়াই ভালো।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে ৫টি ভুলের কথা, যার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।

১. করোনাভাইরাস সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই বাইরে যাচ্ছেন
করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বলতে আমরা বুঝি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস, টিস্যু। আমরা অনেকেই মনে করি করোনা আমার শরীরে নেই এবং প্রবেশ করতে পারবে না। সেই বিশ্বাসে করোনাভাইরাস সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই আমরা যখন-তখন বাইরে যাচ্ছি। আর সেজন্য বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বাসার বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখবেন। আর মাস্ক তো অবশ্যই পরবেন।

২. অনেকেই ধরে নিচ্ছেন ভাইরাস নেই, এটা গুজব
করোনাভাইরাসকে আমাদের মধ্যে অনেকেই খুব ভাবে নিচ্ছেন। যেটা আপনার আর আশপাশের লোকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর এমনটা ভাবার কারণে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেককেই জীবন দিতে হচ্ছে। তাই, ভাইরাস নেই এটা মনে করবেন না। বরং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেলে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

৩. অনেকেই কারণে-অকারণে শপিং করতে যাচ্ছেন
করোনার কারণে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় লকডাউনে বাসায় কাটানোর পর চতুর্দিকে যখন দোকানপাট, শপিংমল খুলেছে, ঠিক তখন কারণে-অকারণে অনেকেই শপিং মলে যাচ্ছেন। যেটা করোনার ঝুঁকিতে ফেলছে আপনাকে।

৪. বিরত নেই বাইরের জিনিস স্পর্শ থেকে
করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পরও এখনও অনেকেই বিরত নেই বাইরের জিনিস স্পর্শ করা থেকে। যেটা খুব সহজেই সংক্রামণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আপনাকে। আর এই কাজটি করার ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন আপনি।

৫. করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর এড়িয়ে যাচ্ছেন, অসতর্ক থাকছেন
অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে কোনও খবর সামনে আসলে সেটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভাইরাসটির মত সংবাদটিও ফেইক মনে করছেন। ফলে আপনি নিজেই অসতর্ক থাকছেন। আর এতে নিজেই বিপদে পড়ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *