করোনাভাইরাসের ৮০ শতাংশ রোগীই উপসর্গবিহীন : ব্রিটিশ জরিপ

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিনই সামনে আসছে নতুন নতুন তথ্য। ব্রিটিশ জরিপে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। মাত্র ২২ শতাংশের করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে, যাদের পরীক্ষার দিন পর্যন্ত উপসর্গ ছিল। জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (ওএনএস) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এই জরিপে একটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার উঠে এলো যে অধিকাংশ মানুষই জানে না তারা ভাইরাসটি বহন করছেন এবং অজান্তে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য ও সমাজেসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরাই বেশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে এই জরিপে।
তথ্যটি এমন সময়ে এলো যখন যুক্তরাজ্যে যে কোনও রোগে মৃত্যু টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমে এসেছে। দেশে মার্চের শেষ থেকে জুন পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে গড় মৃত্যুর চেয়ে ৫৯ হাজার জন বেশি মারা গেছেন।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সরকারি হিসেবে আরও ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়, মোট ৪৪ হাজার ৩৯১ জন।

তবে পরিসংখ্যান দফতর তাদের জরিপে মাত্র ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছিল। তাই কারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন, সেই ব্যাপারে জোরালো কিছু এখনও বলা যাচ্ছে না। তাদের জরিপ বলছে, যারা স্বাস্থ্য কিংবা সেবাখাতে রয়েছেন এবং ঘরের বাইরে কাজ করছেন তারা করোনায় পজিটিভ। সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং শ্বেতাঙ্গদের কারোনা হওয়ার সম্ভবাবনা খুব কম। এছাড়া বড় পরিবারে থাকেন যারা, তাদের করোনাভাইস পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা ছোট পরিবারের চেয়েও বেশি থাকে।

এছাড়া এই রিপোর্টে নারীদের চেয়ে পুরষদের মৃত হার বেশি বলে উঠে এসেছে। তবে তারা কীভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন কিংবা সুস্থ হয়ে উঠছেন তা জানায়নি। ইংল্যান্ডে যারা বাসায় থাকছেন তাদের পরীক্ষা করে এই জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। কেয়ার হোম কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের বসবাসরতদের এই জরিপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

উপসর্গহীন সংক্রমণের ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ব্রিটিশ সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারাও একই কথা বলছে। কিন্তু তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা আর বলেনি।

জরিপে দেখা গেছে ২২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে, যাদের মধ্যে পরীক্ষার দিন পর্যন্ত ভাইরাসটি ছিল। আর প্রায় ৭৮ শতাংশের পরীক্ষার দিন পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছিল না, কিন্তু ফল এসেছে পজিটিভ।সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *