‘৪ মাস ধরে পড়ে আছে রহস্যময় গাড়ি, নম্বর প্লেটে লেখা কোভিড-১৯’

অনলাইন ডেস্ক : গত ফেব্রুয়ারি থেকে গাড়িটা পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিমানবন্দরের পার্কিং জোনে। প্রথমে কারও সেভাবে সন্দেহ হয়নি। কিন্তু তারপরেই উদ্বেগ বাড়তে থাকে। কারণ পরিত্যক্ত ওই বিএমডাব্লু গাড়িটির নম্বর প্লেটে লেখা কোভিড-১৯।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিমানবন্দরে ফেব্রুয়ারি থেকেই নাকি গাড়িটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের গাড়ি যেখানে তাকে, সেখানেই রাখা গাড়িটি। করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন শুরু হওয়া থেকেই সেখানে গাড়িটি পড়ে রয়েছে বলে জানা যায়। এই ছবিটি তুলে একজন বিমানবন্দর কর্মীই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তারপরেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। স্টিভেন স্প্রে নামে ওই কর্মী ছবিটি পোস্ট করেন।

ছাই রংয়ের বিএমডব্লুটি সম্পর্কে স্প্রে বলেন, মার্চ মাস থেকে গাড়িটি ওখানে দেখতে পাচ্ছেন তিনি। তবে তার আগে থেকেই সেখানে সেটি ছিল কিনা, তা তিনি খেয়াল করেননি। স্প্রের ধারণা ফেব্রুয়ারি বা তার আগে থেকেই গাড়িটি সেখানে পড়ে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াতে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শুরু হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করার এক মাস আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় এর সংক্রমণ শুরু হয়।

স্প্রে জানান, ওই গাড়িটি আগে এটি ঢাকা ছিল। কিন্তু এপ্রিল মাসে এক ঝড়ো হাওয়ায় সেটি উড়ে যায়। তারপরেই এর নম্বর প্লেটের দিকে নজর পড়ে সবার।

স্প্রে জানান, প্রথমে আন্তর্জাতিক বিমানের পাইলটের গাড়ি ভেবেছিলাম। যিনি লম্বা সফরে রয়েছেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য ফিরতে পারছেন না। কিন্তু এই ধরণের দামি গাড়ি এভাবে ফেলে রাখার সাহস কোনও বিমান কর্মী দেখাবেন না বলেই তার বিশ্বাস।

স্প্রে আরও জানান, কোনও কর্মী তার গাড়িকে ৪৮ ঘন্টার বেশি সেখানে রাখতে পারেন না। এমন নিয়ম নেই। এই বিএমডব্লুটির লাইসেন্স ২০২০, ২৬শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। সেক্ষেত্রে উহানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার এক মাস আগে এর লাইসেন্স পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।

তাহলে কীভাবে এই নম্বর প্লেটটি ব্যবহার করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট বলছে কোভিড-১৯ নামে কোনও গাড়ির লাইসেন্স নথিভুক্ত করা নেই। ফলে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *