‘কমোডের ফ্ল্যাশেই লুকিয়ে করোনা সংক্রমণের বিপদ, জানালেন বিজ্ঞানীরা’

অনলাইন ডেস্ক : অব্যাহত করোনার সংক্রমণ। দিন যত গড়াচ্ছে ততই নিত্যনতুন উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে অদৃশ্য এই ব্যাধি। সংক্রমণ রোধে জারি রয়েছে লকডাউন। তবুও এখনও আয়ত্ত্বে আনা যায়নি মারণ এই ব্যাধিকে।

আর এরই মাঝে করোনার নতুন সংক্রমণের ধরন নিয়ে নয়া আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। জানা গেছে, সাধারণ শৌচাগার ব্যবহারের পর ফ্লাশ করা হলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতিতে এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন চিনের ইয়াংহু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
ইয়াংহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিজিক্স অফ ফ্লুইডস’ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, জনসাধারণের জন্য যে শৌচাগার গুলি রয়েছে সেগুলি ব্যবহারের পর ফ্লাশ করা হলে বাতাসে ভাসমান সুক্ষ জলকণা বা ‘এরোসেল’ বাহিত হয়ে ভাইরাস ছড়াতে পারে। আর যা কোনও ব্যক্তির শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন।

এছাড়াও মানবদেহের বর্জ্যও করোনাভাইরাস বহন করতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং করোনা মহামারীর এই সময়ে সাধারণ শৌচাগার ব্যবহারের সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে চীন এবং অন্যান্য দেশের গবেষকরা জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে, মার্কিন এক গবেষণায় শিশুদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি দেখে রীতিমত অবাক বিজ্ঞানীরা। জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক্স পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকার মাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯২ দুজনের ওপরেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে যাদের বয়স ১৬ থেকে ২২।

সেখানে দেখা গেছে, ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত ও ১৮ জনের শরীরে করোনা পরবর্তী অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। গবেষকরা বলছেন দেখা যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি অনেক বেশি এমনকি আইসিইউ তে থাকা করোনা আক্রান্তদের থেকেও বেশি পরিমাণ ভাইরাস রয়েছে শিশুদের শরীরে।

এই সমীক্ষার প্রধান গবেষক লয়েল ওয়ংকার বলেন, সংক্রমিত হওয়ার প্রথম দুদিন শিশুদের শরীরে ভাইরাস যে পরিমাণে থাকছে তা চমকে দেওয়ার মতো। ভাইরাসের উপস্থিতিতে এত বেশি পরিমাণ থাকবে তা আশা করা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার জন্য অনেক প্রোটেকশনে নেওয়া হচ্ছে,, অথচ তার থেকে অনেক বেশি ভাইরাস আছে এমন একটি শিশু সুস্থ ভাবে চলাফেরা করছে, ফলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *