করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় ভারতের একাধিক শহরে নতুন করে বিধিনিষেধ

অনলাইন ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি রাজ্য নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, আহমেদাবাদ, ইন্দোর’এর মতো শহরগুলি-যেখানে গত জুন-জুলাই মাসে করোনার প্রথম ঢেউ দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে এই সব জায়গায় আনলক পর্বও শুরু হয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূূর্ণ লকডাউনের পথে না হাঁটলেও এই সব শহরগুলিতে কোথাও নাইট কারফিউ, কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

দেশের মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক রাজধানী দিল্লিতে। কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী ও মাস্ক না পড়লে ৫ হাজার রুপি জরিমানার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি প্রশাসন। বিয়ে বাড়িতে কেবল ৫০ জন অতিথিকে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাজার-ঘাট খোলা থাকলেও সেখানে থাকবে বাড়তি নজরদারি।
হরিয়ানায় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ নতুন করে স্কুল খোলার পরই সেখানে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ১০৭ জন শিক্ষকের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।

মুম্বাই শহরে বৃহন্মমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অধীন সমস্ত স্কুল চলতি বছরে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই একই পথে হেঁটেছে থানে প্রশাসনও। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কথা বলেই মহারাষ্ট্র সরকার আপাতত নতুন করে স্কুল খোলার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

আহমেদাবাদে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কারফিউ জারি করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে কেবল দুধ ও ওষুধের দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২৩ নভেম্বর থেকে শহরের কোন স্কুল ও কলেজ খোলা থাকবে না। আহমেদাবাদের পাশাপাশি রাজকোট, সুরাট, ভদোদরা সহ গুজরাটের আরও কয়েকটি শহরেও নাইট কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরেও নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি ছিল। একমাত্র জরুরি পরিসেবার সাথে যুক্ত মানুষদেরই ছাড় দেওয়া হয়েছে। ইন্দোর ছাড়া ভোপাল, গোয়ালিয়র, বিদিশা ও রতলাম শহরেও রাতে কারফিউ জারি থাকবে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজস্থানের প্রতিটি জেলায় শনিবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *