করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে বেনাপোলবাসী

বেনাপোল প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

করোনা সংক্রমণ আতঙ্কে রয়েছে বেনাপোল সীমান্তের মানুষ। মাস্ক পরিধান এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য বেসরকারিভাবে মাইকিং করা হচ্ছে দিনরাত। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না লোকজন।

 

 

 

 

 

 

 

আবার বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে ভারত ফেরত যাত্রীরাও মানছে না কোয়ারেন্টাইন। হোটেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারদের ম্যানেজ করে বাজারঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।

 

 

 

 

 

গত ১৫ দিনে বেনাপোল এবং আশপাশের এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে গেছে। বুধবার পর্যন্ত শার্শা উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৩ জন। এরমধ্য আইসোলেশনে আছেন ৬৯ জন। ভারতফেরত যাত্রীদের নিয়ে সবচেয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

 

 

 

 

 

 

সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ জন বলা হলেও আক্রান্তের সংখ্যা দুই শতাধিক। সবচেয়ে সংক্রমিত এলাকা চেকপোস্ট ও ভারত সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম বড়আঁচড়া, গাজীপুর এবং দীঘিরপাড় এলাকা। সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বিজিবি কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

সম্প্রতি স্থানীয় একটি হোটেল থেকে বের হয়ে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে আম বুকিং দিতে গেলে কুরিয়ারের ম্যানেজার পাসপোর্ট যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

 

 

 

 

 

 

এদিকে, গত ১ জুন বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা সাতজন যাত্রী করোনা পজিটিভ হয়েছেন। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এর আগে, গত মে মাসে বেনাপোল শহরের আশপাশে ২৪ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

 

 

 

 

 

 

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন হোসেন জানান, হোটেলে অবস্থান করা ভারতফেরত যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। বুধবার ৪২ জনের শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের হোটেল থেকে যশোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রীদের ১৩ দিন পর নেগেটিভ নিশ্চিত করেই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। যারা ভারত থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসছে তাদেরকেও বাংলাদেশে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বৈধ-অবৈধভাবে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে বেনাপোলে আসে। সাধারণ মানুষের সাথে তাদের মেলামেশা ও হোটেলে থাকাটা বেনাপোলবাসীর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বেনাপোলের মানুষ এখন বেশ শঙ্কিত। আবাসিক হোটেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রীরা নেমে বাজারে ঘোরাঘুরি এবং কেনাকাটা করে হোটেলে প্রবেশ করছে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর না হলে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *