কুষ্টিয়ার রসুন চাষিদের মুখে হাসি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে রসুন চাষ। ফলনও ভালো হয়েছে। অর্থকরী ও মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় রসুন চাষ করে আর্থিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন চাষিরা। এ বছর রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে কুষ্টিয়ার রসুন।

 

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ১হাজার ৫৭৮হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। এরমধ্যে জেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ৬৫৫হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর রসুনের ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে কৃষকের খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। আর ফলন হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৩৫-৪০ মন। কোনোক্ষেত্রে আরো বেশি। ৩২০০টাকা থেকে ৩৫০০টাকা মন হিসেবে বাজারে রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।

 

দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল আহমেদ জানান, এবছর তিনি ৪ বিঘা জমিত রসুন চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে ৫ লাখ টাকার রসুন ঘরে তুলেছেন। ২ লাখ টাকার রসুন বিক্রিও করেছেন। এখনও প্রায় ৩ লাখ টাকার রসুন ঘরে মজুদ আছে। বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে দাম বাড়লে মজুদ রসুন বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

 

কৃষকদের কাছ থেকে রসুন কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে পাইকার ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বুলবুল আহমেদ নামে এক আড়তদার।

 

কুষ্টিয়ায় রসুনের চাষ বৃদ্ধিতে এবং অল্প জমিতে বেশি রসুন উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ কৃষিকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে কৃষি বিভাগ সবধরণের সহায়তা দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম।

 

এদিকে রসুনসহ সবধরণের অর্থকরী ফসল চাষে কৃষকের সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়েছেন কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ।

 

কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকরা রসুনসহ সব ধরণের কৃষি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হবে। সেক্ষেত্রে বেশী প্রয়োজন সবধরণের পৃষ্ঠপোষকতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *