
অনলাইন ডেস্ক : পরিস্থিতির নিরিখে ভারতের জন্য বুধবার থেকে নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দিল পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আপাতত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের দিক থেকে পাকিস্তানের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান উড়তে পারবে না। এই সিদ্ধান্তে বিশেষ করে ভারত থেকে বিমানে করাচি যাওয়া কার্যত স্থগিত। দেশের আকাশপথ শুধুমাত্র বিমানবাহিনী ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে, টুইটারে পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি লিখেছেন, ভারত থেকে আফগানিস্তানে স্থলপথে বাণিজ্যিক কারণে যে আমদানি-রফতানির কাজ হয়, সেই পথও বন্ধ করে দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সে ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, গত ২২ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। তখনও তিনি আকাশপথে পাকিস্তানের রুট ধরেই গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেটা ভাল চোখে দেখছেন না বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোট হানার পর পাকিস্তান তাদের আন্তর্জাতিক আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে ১৬ জুলাই তা খুলে দেওয়া হয়। সেবার ভারতের ছ’শো কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম। পরে আবার কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধের সিদ্ধান্তের ধাক্কায় বুধবার দুপুরের পর কার্যত ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিপর্যয় হয়। কারণ অনেকগুলো দেশের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলো এই রুট ব্যবহার করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগলিক অবস্থানের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের আকাশপথের গুরুত্ব যথেষ্ট। পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং উল্টো দিকে যাতায়াত করা বিমানের ৯০ শতাংশ এই দুই দেশের আকাশপথ ব্যবহার করে। তাতে সময় কম লাগে। জ্বালানি কম খরচ হয়। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, হংকংসহ বিভিন্ন দেশের বিমান কলকাতার আকাশে ঢুকে দিল্লি হয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে আরও পশ্চিমে উড়ে যায়। আবার উল্টো মুখে করাচি হয়ে বিমানগুলো দিল্লি, কলকাতা ছুঁয়ে পূর্বে উড়ে যায়। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।