কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় শেষ মুহূর্তে  ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। মিছিল, মিটিং ও শোডাউনে মুখর হয়ে উঠেছে দৌলতপুরের জনপদ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রাম, পাড়া মহল্লাসহ হাটে-বজারে গণসংযোগ, পথসভা, উঠোন বৈঠক করে নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।

 

কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১০জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মূলত ৩জন প্রার্থী।

 

এ আসনে নৌকার সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী এবং দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল। অপরদিকে দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।

 

এই ৩ প্রার্থীর মধ্যে আগামী ৭জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হবেন বলে সাধারণ ভোটারদের অভিমত। তবে এদের মধ্যে প্রচার প্রচারণায় আরো একধাপ এগিয়ে রয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল। তবে নৌকার প্রার্থী দোদূল্যমান অবস্থা কাটিয়ে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায় নৌকার ভোটারদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে নৌকার কর্মী সমর্থকরা জানিয়েছে।

 

বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ দিনভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন ভোট প্রার্থনায়। ভোট চেয়েছেন চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও হাটে বাজারে। একইভাবে দৌলতপুর থানা বাজার ও আমদহসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এই তিন প্রার্থী দিন-রাত চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লায়।

 

এছাড়াও যারা নির্বাচনের প্রচারণায় রয়েছেন তাদের মধ্যে লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কোরবান আলীর ছেলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, জাসদ সমর্থিত মশাল প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল কবীর স্বপন, কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন। ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকের কমরেড মজিবর রহমান নিজের মত করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাঁকী ৩ প্রার্থীকে এখনো ভোটের মাঠে দেখা পায়নি ভোটাররা।

 

ভোটযুদ্ধে নির্বাচনের মাঠে যারা রয়েছেন তারা সকলেই জয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। সে লক্ষ্যে তারা প্রচার প্রচারণায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রার্থীরা মনে করেন এবারের নির্বাচনে সন্ত্রাসমুক্ত, মাস্তানমুক্ত এবং কারচুপিমুক্ত অবাঁধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তারা জয়ী হবেন। তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারবো তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *