

মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্বজনের মরদেহবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় মরদেহের স্বজনদের মারধরের পাশাপাশি মরদেহেও স্বর্ণালঙ্কারের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আয়েশা খাতুন (৫০) নামের এক নারীর মরদেহ নিয়ে সুধিরাজপুর গ্রামে ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তিনি মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা, নিয়ামত আলীর স্ত্রী।
অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নিহতের ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, “আমার বড় বোনের মরদেহ নিয়ে ফিরছিলাম। ছাতিয়ান কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কে পৌঁছালে পথে কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখে চালক গাড়ি থামান। তখন হঠাৎ পাশের পানের বরজ থেকে ৪-৫ জন মুখোশধারী ডাকাত বেরিয়ে আসে। তারা হাঁসুয়া দিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়ে চালকের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা এবং আমাদের কাছ থেকে ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও একজোড়া স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। এমনকি মরদেহের কান ও গলায় অলংকার আছে কিনা, সেটিও তল্লাশি করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা নারীদের গা থেকে অলংকার ছিনিয়ে নেয় এবং হামলা চালায়। এই ঘটনায় শিউলি খাতুন (৪৬), ফেরদৌসি (৩২) ও শাহবুল নামে আরও তিনজন আক্রান্ত হন।
এ প্রসঙ্গে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলটি গ্রামের একেবারে ভেতরে। তবে আশপাশের প্রধান সড়কে নিয়মিত পুলিশ টহল থাকে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক এবং তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
এমন ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।








