অনলাইন ডেস্ক : স্বামীর দাবি ছিল বিনা প্রতিবাদে স্ত্রী যেন তার সাংবাদিকতার চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু স্বামীর এমন দাবি মেনে নেননি ক্রাইম রিপোর্টার স্ত্রী। আর এই ‘অবাধ্যতা’র মাশুল দিতে হলো জীবন দিয়ে!
সোমবার স্বামীর হাতে খুন হলেন ২৭ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। মাত্র সাত মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল এই দম্পতির। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। এফআইআর-এ তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা দোস্ত মহম্মদ জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিক উরুজ ইকবাল একটি উর্দু সংবাদপত্রে কাজ করতেন। মধ্য লাহোরের কিলা গুজ্জার সিংয়ের কাছে সংবাদপত্রের দপ্তরে ঢোকার সময়ই তার স্বামী দিলাওয়র আলি উরুজকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তিনি আরও জানান, উরুজের ভাই ইয়াসির ইকবালের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এফআইআর-এ ইয়াসির জানিয়েছেন, সাত মাস আগে ভালোবেসেই আলিকে বিয়ে করেন তার বোন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে। সেই সঙ্গে চাকরি ছাড়ার চাপও সৃষ্টি করা হয়। ইয়াসিরের অভিযোগ তার বোনকে শারীরিক অত্যাচারও করতেন আলি। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পর থেকে অফিসভবনেই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন ক্রাইম রিপোর্টার উরুজ। সিসিটিভি ফুটেজ ফরেন্সিক অ্যানালিসিসের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: এই সময়