ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৃষ্টিতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) কালীগঞ্জের নতুন বাজার, পুরাতন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারি প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও খুচরা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।

কালীগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে ক্রয় করেছিলাম সেই পেঁয়াজ আজ ১৪০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। হঠাৎ করে দেখছি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজার করতে আসা পাইকপাড়া গ্রামের হাসান জাকির জানান, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ছিল সেই পেঁয়াজ আজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার তার প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর।

এদিকে বিক্রেতারা বলছে, বৈরী আবহাওয়া ও মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

কালীগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী ও কাঁচা-পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বিসমিল্লাহ ভাণ্ডার এর স্বত্বাধিকারী জিল্লুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলছেন না। যার কারণে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ আজ ১৪০ দরে বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রায় শেষের পথে। এ জন্য দাম বেড়েছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, এ বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ৯০২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ ভাগ জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ উঠতে আরো অন্তত আড়াই থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। এ কারণে দাম বেড়েছে।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় ৯ শ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। যা বর্তমানে শেষের পথে। নতুন জাতের পেঁয়াজ না উঠলে বাজারদর একই থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *