‘বিদেশফেরতরা থাকছেন না কোয়ারেন্টিনে, বাড়ছে ঝুঁকি’

অনলাইন ডেস্ক : করোনা প্রতিরোধে বিদেশফেরত সবাইকে ১৪ দিন নিজ বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বার বার অবস্থান করতে অনুরোধ জানানো হলেও তারা থাকছেন না। তারা নিজদের সুস্থ মনে করে দিব্যি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছেন ও মেলামেশা করেছেন। এদের কারণেই বিপাকে রয়েছে গোটা স্বাস্থ্য প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম মাদারীপুরের শিবচরে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ এলাকাতে করোনাভাইরাসটি বেশি সংখ্যায় ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন রোগতত্ত্ববিদরা।

চীনের হুবেই প্রদেশে নতুন ধরনের এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অর্থাৎ গত দুই মাস আগ থেকে রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে নানা সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করে বাংলাদেশ। গত ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (শাহজালাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট) থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে জ্বর মাপাসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়।

পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব স্থল, সমুদ্র ও রেলস্টেশন দিয়ে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে তিন লাখের বেশি দেশের তিনটি আন্তজার্তিক বিমানবন্দর দিয়ে ফিরেছে। তারা বিমাবন্দরে ফেরার পথে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম জমা প্রদান ও জ্বর মেপে এসেছেন বটে, কিন্তু করোনাভাইরাসটি সংক্রমণের পর এর লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন লেগে যায়।

কোভিড-১৯ এর উপসর্গগুলো হচ্ছে জ্বর, কফ-কাশি, হাঁচি, মাংসপেশীর বেদনা, গলাদাহ, যা দুই থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত চিকিৎসা না হলে স্পঞ্জি ফুসফুস শ্লেটের মতো শক্ত হয়ে যায়।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এবং এখন পর্যন্ত তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

উল্লেখ্য, চীনে করোনাভাইরাস প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও চীনের বাইরে ব্যাপক আকারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এতে বিশ্বব্যাপী প্রচণ্ড আতঙ্ক ও ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩৮৯ জনের। এর মধ্যে উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৫। চীনের বাইরে মারা গেছে ৬ হাজার ১৪৪ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *