
অনলাইন ডেস্ক : গত বছরই বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের পরীক্ষা চালায় ভারত। আর এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে সেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সিস্টেম বিশ্বের দরবারে প্রদর্শন করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল এক ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিয়ন্ত্রিত (গাইডেড) ক্ষেপণাস্ত্র, যা দিয়ে মহাকাশের কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করা যায়। রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র পাল্লা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল মহাকাশে। সেই সময় দুই দেশই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে গবেষণা শুরু করে। পরে ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। তবে সেই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে ছুড়তে হতো।
অন্যদিকে ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফলভাবে একেবারে মাটি থেকে ছোড়া যায় এমন উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে। অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, মহাকাশে নিজের দেশের যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে এবং গবেষণামূলক কাজকর্ম চলছে সেগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া। সেই সঙ্গে মহাকাশ থেকে কোনো শত্রু দেশে আক্রমণ করলে তা যেন মহাকাশেই প্রতিহত করা যায়, তা নিশ্চিত করাই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের কাজ। এই মিসাইলের সঙ্গে প্রয়োজনে পরমাণবিক অস্ত্রও যুক্ত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চীন তৃতীয় শক্তি হিসাবে ২০০৭ সালে সফলভাবে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো চীনও প্রথম সফল উৎক্ষেপণের পর থেকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল প্রযুক্তি আরো উন্নত করে চলেছে। চীনের সাফল্য মহাকাশে ভারতের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ভারতও সেই একই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ২০১২ সালের মধ্যেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি তৈরিতে সক্ষম হয় ভারত। আর এবার সেই মিসাইল সিস্টেমটি সবার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।সূত্র:কলকাতাটোয়েন্টিফোর।














