জীবাণু ঘরের কোথায় কোথায় লুকিয়ে থাকে?

অনলাইন ডেস্ক : শুধু ভাল খাবার খেলেই মানুষ সুস্থ থাকা যায় না। সুস্থ থাকার জন্য বাসস্থানের জায়গাটাও পরিষ্কার রাখতে হয়।

যেহেতু দিনশেষে নিজ ঘরেই ফিরেই আসে প্রশান্তি। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। ঘর মনের মতো সাজিয়ে নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি ঘরের বিভিন্ন জিনিসে কোথায় ধুলো জমে থাকে ও জীবাণুর জন্ম হতে পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত।
রান্নাঘর: বাজার শেষে কাঁচা শাকসবজি, মাছ, মাংস, ফলমূল শুরুতেই এনে রাখা হয় রান্নাঘরে। ভালো করে পরিষ্কার না করলে এগুলো থেকেই রান্নাঘরে রয়ে যেতে পারে ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু। রান্নাঘরের সিংক, কেবিনেট, ফ্রিজ, রান্নার বিভিন্ন জিনিসপত্র দ্রুত নোংরা হয়। তাই রান্না শেষে ভালো করে সবকিছু জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে-মুছে রাখতে হবে।

বাথরুম: প্রতিবার ব্যবহার শেষে বাথরুমে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। বাথরুমের জন্য ব্যবহার করা ব্রাশ, নেট, হারপিক কোনায় রেখে দিতে হবে, যেন বারবার হাত না লাগে। লাইটের সুইচ, দরজার নব, বেসিন-ঝরনার হ্যান্ডেল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাথরুমের সিংক, টুথব্রাশ হোল্ডার, তোয়ালে, ম্যাট সপ্তাহে একবার করে পরিষ্কার করতে হবে।

বেডরুম: বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পড়ার সময় অথবা ল্যাপটপে কোনো কাজ করতে গেলে হালকা খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। অসাবধানতায় কিছু খাবার বিছানায় রয়ে গেলে তা থেকে জন্ম নিতে পারে জীবাণু। সব সময় বিছানার চাদর, কম্বল পরিষ্কার রাখা উচিত। বালিশ, ম্যাট্রেস, তোশক মাঝেমধ্যেই রোদে দিয়ে ধুলো ঝেড়ে নিতে হবে।

ড্রয়িং রুম: বাইরে থেকে প্রবেশ করলে ঘরে জীবাণু ঢুকতে পারে। বাড়িতে ঢুকেই আগে হাত-মুখ ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে। টিভির রিমোট, কি-বোর্ড, হেডফোন, মোবাইল সবকিছুই ঘরের এদিক-সেদিক ছড়ানো থাকে বলে তাতে জমে যেতে পারে জীবাণু। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে এসব জিনিস ব্যবহার শেষে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *