কুষ্টিয়ায় তিনদিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় তিনদিনের ব্যবধানে চাউলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। করোনা ভাইরাসের অজুহাতে চাউলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে
বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহার স্থানীয় চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া ডিসি অফিসে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করেছেন।
মতবিনিময় সভায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহার এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল, রশিদ এগ্রো ফুড কোম্পানির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিন রাইস মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ, চাউল কল মালিক সমিতির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদিন প্রধান, অটো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বড় বাজার চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, বিশ্বাস এগ্রো ফুড লিমিটেডের ইসরাফিল হোসেন, আহাদ এগ্রো ফুড এর আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।এ আলোচনা ও মতবিনিময় সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার বলেন, স্বাভাবিক দামে চাউল বিক্রয় করার জন্য মিল মালিকদের ভূমিকা নিতে হবে। কোনভাবেই ধান ও চাউল মজুদ করা যাবেনা, ব্যবসায়ীদের নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাউল বিক্রয় করা যাবে না। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে যে দরে চাউল বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করা যাবে না।চাউলের মূল্য বাড়ালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ চাই না । আমরা এদেশের নাগরিক দেশের কোথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। সব সময় লাভের চিন্তা করা যাবে না। আমরা আপনাদের পূর্ব থেকেই সতর্ক করছি। কেউ ধান চাল মজুদ করতে যাবেন না।এ বিষয়গুলো কেউ যদি না মানে তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসন সবসময় নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়াও জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল কিনলে তো হবে না তাতে তো পোকা হয়ে যাবে।
ব্যবসায়ী এবং চাউল মালিকরা জানান, আমরা চাউলের দাম বৃদ্ধি করেনি ধানের দাম বেড়েছে তাই চাউলের দাম বেড়েছে। তারা বলেন মিলে চাউল উৎপাদনের চেয়ে বাজারে চাহিদা রয়েছে দ্বিগুণ। মানুষ করানো ভাইরাস আতঙ্কে এক বস্তার জায়গায় ২ থেকে ৩ বস্তা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,করোনা ভাইরাস অজুহাত দেখিয়ে মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে চাউলের দাম বৃদ্ধি করেছে।বর্তমান বাজারে কাজল লতা চাউল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২ শত টাকায়। তিন দিন পূর্বে চাউলের দাম ছিল ২০ শত ৫০ টাকা। আঠাশ চাউল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৯ শত ৫০ টাকায়। তিনদিন আগে দাম ছিল ১৭ শত টাকা।মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৬ শত টাকায়। পূর্বের দাম ছিল ২৪ শত টাকা। বাসমতি বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ২৯ শত টাকায়। গত তিনদিন পূর্বে বিক্রি হয়েছে ২৫ শত টাকায়। এছাড়াও মোটা স্বর্ণ চাউল বিক্রি হচ্ছে ১৭ শত ৫০ শত টাকায়। তিন দিন পূর্বে ৫০ কেজির বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে ১৫ শত টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *