কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে বৃহস্পতিবার সাতজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে আক্রান্ত একজন মারা গেছেন।
সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র পেয়েছেন- ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. আলেয়া ফেরদৌস তন্বি ও ডা. তানভীর রহমান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কিশোর কুমার ধর, ভৈরব থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বত্রিশ এলাকার গৃহিনী জবা ভৌমিক (৬০) ও চৌদ্দশত ইউনিয়নের পাড়াপরমানন্দপুরের রকি (২২) এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার গৃহিনী আউলিয়া আক্তার (২৫)।
তাদের মধ্যে ডা. কিশোর কুমার ধর ভৈরব থেকে এবং বাকি ছয়জনকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মো. মোস্তফা নামে একজন মারা গেছেন। তিনি নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
এর আগে বুধবার জেলায় চারজন সুস্থ হয়েছেন। তারা হলেন, ভৈরব উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ী তৌহিদ আহমেদ ওরফে আর্থ কিশোর, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বদরুল ইসলাম এবং তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. সাবিহা পারভীন ও ডা. ইফতেখার আনাম নোমান।
ডা. সাবিহা পারভীন ও ডা. ইফতেখার আনাম নোমান ময়মনসিংহের এস. কে হাসপাতালে এবং বদরুল ইসলাম ও তৌহিদ আহমেদ ওরফে আর্থ কিশোর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ভৈরব থানার এসআই মো. চাঁন মিয়া।
এছাড়া সোমবার করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আরিফ আহমেদ জনি।
এর আগে ইটনা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ জেলায় প্রথম ব্যক্তি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। গত শনিবার তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান।