সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জে র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৫৫ জন সদস্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তারা সকলেই সুস্থ আছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী এলাকায় র্যাব-১১ এর সদর দফতরের চারতলায় ও শহরের পুরাতন কোর্টে অবস্থিত ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে দুটি আইসোলেশন সেন্টারে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রবিবার বিকালে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বিসয়টি নিশ্চিত করে জানান, র্যাবের বর্তমান ৫০ ও সাবেক ৫ জন সদস্য কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সদস্যদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ভিড় হওয়ার প্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল র্যাব-১১ এর ব্যারাক চতুর্থ তলার উপর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৪০ শয্যা ও ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। আক্রান্তরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা সকলেই সুস্থ আছেন।
তিনি আরও বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে র্যাবের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ৬০টি শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের জেনারেল দ্বারা জারি করা করোনা ট্রেটমেন্ট প্রোটোকল অনুসারে অক্সিজেন সিলিন্ডার, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, পোর্টেবল ইসিজি মেশিন, ২৪ ঘণ্টা জরুরি রোগী বহনের জন্য অক্সিজেন সুবিধার অ্যাম্বুলেন্সসহ যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিসপোজেবল প্লাস্টিকের পাত্রে তাদের তিন বেলা খাবার দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ফল, লেবু, আদা, লবঙ্গ, কালো জিরা ও প্রতিদিন চা দেয়া হচ্ছে। তাদের সুরক্ষায় দৈনিক ব্যবহারের জন্য ফেস মাস্ক, পিভিসি হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ন্যাপকিন দেয়া হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা প্রার্থনা কর্ণার, গরম পানির বাথরুম, বৈদ্যুতিক কেটলি, টিভি ও সংবাদপত্র দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের রুম জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া যারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও খাবার বিতরণ করছে তাদের জন্য পিপিই দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন র্যাবের সদস্যদের সদর দফতরের মেডিকেল অফিসার, সিএমএইচ, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। র্যাব সদস্যদের ওষুধ হিসেবে জিংক ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে।
ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, র্যাব সদস্যদের মধ্যে কোন উপসর্গ নেই। যেহেতু তারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, খাদ্য সহায়তা সহ আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাচ্ছে সেজন্য তাদের থেকে যেন অন্যদের মধ্যে না সংক্রামণ হয় সেজন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তখন তাদের রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। যার পর থেকেই আইসোলেশনে আছেন।