কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে পিসিআর ল্যাবে আজ ০৬ জুলাই ২০২০ মোট ৩২৯ টি স্যাম্পলের (কুষ্টিয়া ১৪০, চুয়াডাঙ্গা ৭, ঝিনাইদহ ৭৬, মেহেরপুর ২২, নড়াইল ৮৪) মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৩৫ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২ জন, দৌলতপুর উপজেলার ৭ জন ও মিরপুর উপজেলায় ৩ জন মোট ৪৭ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় পুলিশ, ব্যাংকারসহ একদিনে সর্বোচ্চ ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ৮০৫ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হলো। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়স্ক একজন পুরুষ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছে ১৪ জন। গতকাল ৬ জুলাই সোমবার রাতে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস থেকে কোভিড ১৯ আপডেটে জানানো হয়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৬ জুলাই ৩২৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১৪০টি নমুনা ছিল।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৩৫ জনের ঠিকানা হরিপুর ২ জন, রাজু আহমেদ সড়ক ১ জন, বাশগ্রাম ১ জন, পূর্ব মজমপুর ২ জন, কালিশংকরপুর ৩ জন, উজানগ্রাম ১জন, কমলাপুর ১ জন, টাকিমারা ১ জন, বেলগড়িয়া ১ জন, লুতফুর মঞ্জিল রোড ১ জন, কুশলিবাস ১ জন, চৌড়হাস ১ জন, বাড়াদি ১ জন, কুমারগাড়া ২ জন, মিনাপাড়া ১ জন, বড় আইলচারা ১ জন, ঢাকা ঝালপাড়া ১ জন, শিয়ালদহ ১ জন, হাউজিং ব্লক বি ১ জন, হাউজিং ব্লক ডি ১ জন, আড়ুয়াপাড়া ১ জন, এনএস রোড ১ জন, গোসালারোড ৩ জন, কোর্টপাড়া ২ জন, সকাল সন্ধ্যা গলি ৩ জন।
দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৭ জনের ঠিকানা আল্লারদরগা ১ জন, মহেসকুণ্ডি ১ জন, পুলিশ ক্যাম্প খলিশাকুণ্ডি ৫ জন।
কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত ২ জনের ঠিকানা অগ্রণী ব্যাংক ১ জন, কুণ্ডপাড়া ১ জন।
মিরপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের ঠিকানা কল্যাণপুর ১ জন, নওয়াপাড়া ২ জন।
সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন মোট ৩৬৯ জন। উপজেলা ভিত্তিক সুস্থ ৩৬৭ জন (দৌলতপুর ৫৫, ভেড়ামারা ৫৮, মিরপুর ২৬, সদর ১৬৮, কুমারখালী ৪৪, খোকসা ১৬) বহিরাগত সুস্থ ২ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৭২ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৪ জন। মৃত ১৪ জন (কুমারখালী-৩, দৌলতপুর-১, ভেড়ামারা-১, কুষ্টিয়া সদর-৯ )। গতকাল কুষ্টিয়া সদরের কাস্টম মোড়ের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়স্ক একজন পুরুষ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও মহিলা ১ জন।
সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আতংকিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ঘরে থাকুন, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হবেন না। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করুন। যত্রতত্র কফ, থুতু ফেলবেন না। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় টিস্যু পেপার, রুমাল, বাহুর ভাঁজ ব্যবহার করুন ও ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। একে অপরের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন।