‘আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণের ভয় নেই, অ্যান্টিবডির চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু’

অনলাইন ডেস্ক : করোনার রুখতে সক্ষম, এমন অ্যান্টিবডির খোঁজে রাত-দিন এক করে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের অ্যান্টিবডি কাজে লাগিয়ে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন একদল বিজ্ঞানী। এর মধ্যেই করোনা-রোধী অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণায় প্রত্যাশা বাড়াল মার্কিন বায়োটেকনোলজি সংস্থা রিজেনেরন।

করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করলেন রিজেনেরনের বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন বায়োটেকনোলজি সংস্থার বিজ্ঞানীদের তৈরি এই অ্যান্টিবডি আসলে একাধিক করোনা-রোধী অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণ বা ‘কক্টেল’। এটির প্রয়োগের ফলে শরীরে এমন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় যা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা প্রায় ১০০ শতাংশ হ্রাস করে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

রিজেনেরনের বিজ্ঞানীদের দাবি, তাদের তৈরি এই অ্যান্টিবডি ‘কক্টেল’ এতোটাই শক্তিশালী যে, কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণের কোনও রকম ভয় নেই!

রিজেনেরনের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই অ্যান্টিবডি ‘কক্টেল’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা পরখ করে নেবেন। অ্যান্টিবডির তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালকে বিজ্ঞানীরা তাই ‘প্রতিরোধের পরীক্ষা’ বলেই উল্লেখ করেছেন।

সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালে ২,০০০ জন করোনা রোগীর উপর এই অ্যান্টিবডি ‘কক্টেল’ প্রয়োগ করে দেখা হবে।

রিজেনেরনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এমন ১,৮৫০ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি এমন ১,০৫০ করোনায় আক্রান্তের উপর এই অ্যান্টিবডি ‘কক্টেল’ প্রয়োগ করে দেখা হবে। ব্রাজিল, মেক্সিকো, চিলি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে এই অ্যান্টিবডির ট্রায়াল চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *