পানি থেকে উঠে এল ৩৬ ফুটের অতিকায় দানব !

বিচিত্র খবর: আমাজনের জঙ্গলের বৈচিত্র্যের কথা সকলের জানা। তবে গত শুক্রবারের দৃশ্য হতবাক করল সেই সব বিশেষজ্ঞদেরও যারা আমাজনের জঙ্গলকে খুব ভালো করে চেনেন বলে দাবি করেন। কেননা, ব্রাজিলের মাজারো দ্বীপে সমুদ্র থেকে পনেরো মিটার দূরে পাওয়া গিয়েছে এক ৩৬ ফুটের অতিকায় তিমি। 

মাজারো দ্বীপে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিচো দাগা ইনস্টিটিউটের একটি দল ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভিতরে এই মৃত তিমিটিকে দেখতে পায়। ছবি তুলে ফেসবুকে দিতেই এই অতিকায় তিমির ছবি ভাইরাল হয়। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এই হাম্পব্যাক প্রজাতির তিমিটি নেহাতই খুদে। এর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুটের মতো। এই প্রজাতি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের তিমির দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫২ ফুটের মতো।প্রসঙ্গত, এই বিশেষ প্রজাতির তিমিটি বিশ্ববিখ্যাত তার চরিত্রের কারণে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর গান গায় এই তিমি। তাদের গলা থেকে বের হওয়া অদ্ভুত আওয়াজ স্থায়ী হয় দশ মিনিটের কাছাকাছি। এদের মুখগহ্বরের ভিতরে মানুষের মতোই স্বরযন্ত্রও আছে। আর পাঁচটি তিমির মতো এই প্রজাতির তিমিরও বাজারদর ভালই। এর মাংস, চর্বি বিপুল দামে বিক্রিও হয় বাজারে। এই কারণেই ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে রমরমিয়ে চলছে এই তিমির চোরাশিকার।

তাহলে কি শিকারীদেরই হস্তক্ষেপ? কীভাবে পানি থেকে ডাঙায় এভাবে এল এই তিমি? সমুদ্র বিশেষজ্ঞ রেনাতা এমিন অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে জানাচ্ছেন, ‘‘খুব সম্ভবত ডাঙার খুব কাছে এসে পড়েছিল এই তিমিটি। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউই তাকে ডাঙায় এনে ফেলে।’’ তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে পৃথিবীব্যাপী প্রাণীবিদরা এই তিমিটির ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *