‘সম্ভবত ভারতেই প্রথম পাওয়া যাবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন’

অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে দিশেহারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স। এসব দেশে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে করোনাভাইরাস।

এখনও পর্যন্ত কোনও সফল প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী ভয়াবহ সংকট তৈরি করে রেখেছে। এ থেকে একমাত্র বাঁচার উপায় ভ্যাকসিন। সে কারণেই মানবজাতিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই করোনার বেশ কিছু সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই সবচেয়ে এগিয়ে। নিরাপত্তার বিভিন্ন মাত্রায় ইতোমধ্যেই এই ভ্যাকসিন সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলে আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

এর মধ্যেই আরও নতুন খবর সামনে এলো। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে হয়তো ভারতেই প্রথম অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।

ভারতেও তৈরি হচ্ছে করোনার সম্ভাব্য দুটি ভ্যাকসিন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলোর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট চলে আসবে বলে জানা গেছে। তবে ভ্যাকসিন তৈরির দৌঁড়ে অনেক বেশি এগিয়ে অক্সফোর্ড।

এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে আরও আগে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফলও এর মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। এতে জানা গেছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিজ্ঞানীরা যা প্রত্যাশা করছেন সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে এটি।

ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। অন্যদিকে, ভারতের অপর সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করছে কোভ্যাক্সিন।

২০২০ সালের শেষেই প্রতি মাসে ১শ’ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংস্থাটি সম্প্রতি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। ফলে সূলভ মূল্যে এই ভ্যাকসিন মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।

এদিকে, প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে ভারতের কোভ্যাক্সিন। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথম মানব ট্রায়ালে সফল হয়েছে কোভ্যাক্সিন। এবার শুরু হতে চলেছে কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *