অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে করোনার সংক্রমণ। আর এ অবস্থায় করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ।
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চেক রিপাবলিক তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন জারি করেছে। লকডাউনের সময় দেশটির সব স্কুল, রেস্তোরাঁ, পানশালা ও ক্লাব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনকালে জনসমক্ষে মদ্যপানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চেক রিপাবলিকে প্রতি এক লাখে করোনা সংক্রমণের সর্বাধিক হার দেখা গেছে। খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের। নেদারল্যান্ডসেও আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশেষ ক্ষেত্রে জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে, ইউরোপের অনেক দেশে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা আবারও দ্রুত হারে বাড়ছে।
ফ্রান্সের পাবলিক হাসপাতাল গ্রুপ এপিএইচপির প্রধান মার্টিন হির্শ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ প্যারিসের হাসপাতালগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা হয়তো খালি থাকবে।
ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণে ম্যাক্রোঁ নতুন করে আরো কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, প্যারিসসহ যেসব শহর করোনার হটস্পটে বা ভীষণ ঝুঁকিতে রয়েছে, সেসব শহরে সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি করা হতে পারে।
অন্যদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, তিনি গভীর উদ্বেগে ইউরোপের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ছাড়া মেরকেল বলেন, ‘আমাকে বলতেই হচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমেই গুরুতর হচ্ছে।’
নতুন করে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালিও। সে দেশে স্কুলের শিক্ষা সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে পার্কে বিনোদনের জন্য ফুটবল খেলা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরোয়া পার্টি আয়োজন। এ ছাড়া ছয়জনের বেশি একসঙ্গে কারো বাড়িতে না যাওয়ার জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ায় একদিনে সর্বাধিক প্রায় ১৪ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত এবং ২৪৪ জনের মৃত্যুর পরও দেশজুড়ে লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, আজ বুধবার নাগাদ সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৮৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৬ জন। এ ছাড়া বিশ্বে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৬ জন এবং করোনা থেকে সেরে উঠেছে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন।