খুলনায় লকডাউনে বন্ধ গণপরিবহন ও রেল চলাচল

খুলনা প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

আগামী মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্তের পর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। এর আগে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় খুলনা জেলা ও মহানগরীতে আগামী ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তজেলা গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে।

 

 

 

 

 

 

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণে মঙ্গলবার থেকে সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরনের সাপ্তাহিক হাট/গরুর হাট বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তজেলা গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে। ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অফিস চলাকালীন তাদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয় পত্র নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবে।

 

 

 

 

 

 

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং উৎপাদনশীল শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

 

 

 

 

 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বিধি-নিষেধ খুলনা জেলা ও মহানগরের সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

 

 

এদিকে,  রবিবার ৭৯৮টি করোনার নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২২৩ জন। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনিবার ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। এদিন আক্রান্তের হার ৩৮ শতাংশ। শুক্রবার খুলনায় সর্বশেষ করোনা শনাক্ত হার দেখা গেছে, ৩৩ দশমিক তিন শতাংশ। এদিন ৬৭৮টি নমুনার মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২২৬ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *