কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ছাতারপাড়া গ্রামে ৪৫জন ডেঙ্গু রোগী !

লিটন কুমার বিশ্বাস : তবে সরকারি হিসেব মতে, ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ওই গ্রামে মোট ৩৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন । কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ছাতারপাড়া গ্রামে ৪৫জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের গ্রামগুলোতেও। 

জানা গেছে, খবরটি প্রকাশের পর ওই এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন। এদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ এতদিন এ ব্যাপারে চুপচাপ থাকলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ার টনক নড়েছে তাদের। ইতোমধ্যে ওই গ্রামে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। 

স্থানীয়দের ধারণা, ঈদের সময় ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত একসপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন প্রকৌশলী নূর আলম। তার চাচা মাজেদুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় দিনকে দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।”

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অরবিন্দ পাল দাবি করেন, “ছাতারপাড়া গ্রামে ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু রোগ ছড়াচ্ছে। তার দাবি ঢাকা থেকে অনেকে ঈদ করতে গ্রামে আসেন। এরপর থেকেই ওই গ্রামে ডেঙ্গু রোগ দেখা দেয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ করতে আসা লোকজন ঢাকায় ফিরে যাবার পর বেশ কদিন পর ওই গ্রামের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।” 

তিনি বলেন, তাদের হিসেব মতে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ওই গ্রামে মোট ৩৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে দৌলতপুর ও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫ জন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ওই ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ৪৫ জনের মত।

ডা: অরবিন্দ পাল বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।” 

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা শারমিন আক্তার বলেন, “সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। নতুন করে আর কেউ যেন আক্রান্ত না সে বিষয়ে নজরদারী রয়েছে। এলাকার মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *