বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল : মাহবুবউল আলম হানিফ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছিল। শুরু হয়েছিল আমাদের নতুন যাত্রা।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি 

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এসে বলেছিলেন, আমাদের এ অভিযাত্রা অন্ধকার থেকে আলোর পথে অভিযাত্রা। নিরাশার পথ থেকে আশার যাত্রা। সেই দীর্ঘ অভিযাত্রার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে।

 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই বাংলাদেশ কারো দয়ায় আসেনি, কোনো গোলটেবিলের আলোচনায় হয়নি। এই বাংলাদেশের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। জাতির পিতার নেতৃত্বে সেই সংগ্রাম হয়েছিল।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতা ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করেছিলাম। কিন্তু সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেনি। কারণ আমরা জানতাম না স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া বঙ্গবন্ধু কোথায় আছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই যাত্রা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

 

হানিফ বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। উন্নয়ন, শান্তির প্রতি রায় দিয়েছে। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তু পারেনি।

 

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের ভ্রান্ত রাজনীতির কারণে রাজনীতি থেকে ছিটকে সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।তাদেরকে ঘৃণা করুন, সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করুন।

 

জনসভা উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকের পূর্ব পাশে নির্মিত করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এমপি প্রমুখ উপস্থিত আছেন।

 

এর আগে জনসভায় অংশ নিতে বেলা ১২টা থেকে মিছিলে মিছিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *