ন্যাশনাল ডেস্ক : টাকার বিপরীতে বাড়তে শুরু করেছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংক চাইছে টাকার বিপরীতে ডলারকে শক্তিশালী করতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি ডলারের দাম ১৫ পয়সা পর্যন্ত বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে এখন ৮৪ টাকা ৬৫ পয়সা হয়েছে। যেখানে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) প্রতি ডলারের জন্য ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হয়েছিল।
ডলারের দাম বছরখানেক আগে কম ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। ছয় মাস বাদে এক ডলার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়। এই দর পরের ছয় মাস পর্যন্ত একই ছিল।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগী দেশ চীন, ভারত ও ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশ যার যার মুদ্রার মান কমিয়েছে ডলারের বিপরীতে। সম্প্রতি এই পথে হাঁটছে ভারত। তাই প্রতিযোগীদের সাথে টিকতে ডলারের বিপরীতে টাকার মানও কমানো প্রয়োজন। পাশপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেলে আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যাবে। আবার ভোগ্যপণ্য আমদানির খরচ বাড়লে এর ভার সাধারণ মানুষের ওপরে আসবে।
এ দিকে, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই বাজারে প্রতি ডলার ৮৭ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোর কাছে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার দরে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সমস্যা হচ্ছে, ডলারের দাম বাড়লে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও রপ্তানিকারকদের সুবিধা হলেও আমদানিতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। আর সেই প্রভাব গিয়ে পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে।